গতকাল (১৭ জুন) শনিবার রাত সাড়ে ৮ টা থেকে শুরু হওয়া সংর্ঘষ রাত ১০ টা পর্যন্ত চলে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুরিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
হাাবিপ্রবি ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রিয়াদ-সজল ও আকাশ গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তরকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার বিকালে জনৈক ছাত্রের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা আকাশ, রিয়াদ ও সজলের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আকাশকে ক্যাম্পাস থেকে তারা বের করে দেন।তারপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাসের আবাসিক হলগুলো।
শিক্ষার্থীরা হলের সামনে লাঠিসোটা ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে জড়ো হতে থাকে। একপর্যাযে রাত ৮টায় ৩০ মিনিটের পর হলগুলো দুই ভাগে ভাগ হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সন্ধ্যায় আকাশের সমর্থকরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে সংঘর্ষ লেগে যায়। রাত ১০ টা পর্যন্ত কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের প্রায় ৫০ জন আহত হন। সংঘর্ষের সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জিয়া হলে ভাংচুর চালান।
আহতদের মধ্যে রাত ২ টা পর্যন্ত ২৪ জন ছাত্রকে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যরা এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসাপাতালে ও বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
রাত ১০ টা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে লাবীবকে (২৫), টিমন ঘোষ (২৬),সাদিক (২৩), ইসমাইল (২৫), রায়হান (২৩), সৌমিক (২৫), সানি (২৫), মোর্শেদ (২৫), কামরুজ্জামান (২৫), সজিব(২৪), সোহাগ (২৫)সাব্বির (২৫), শরিফ ফকির (২৫), নাফিজ(২৫), আশিক (২৩), রাসেল (২৩), ওয়াকিল (২৩), সালে আহম্মেদ (২৫), প্রিয় (২২), আশিক (২২) , রিপন(২৪) আরিফ (২২) ,ইয়ালিত (২২) ও রিয়াজ (২৪) ভর্তি হয়েছেন।
রাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা শাখার পরিচালকসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও শিক্ষকবৃন্দ ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন। ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে।
দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোহাম্মদ জিন্নাহ আল মামুন বলেন, “ক্যাম্পাসের আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা যাতে বাইরে ছড়িয়ে না যায়, সে বিষয়টি দেখছে পুলিশ। ক্যাম্পাসের ভেতরেও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ”
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মামুনুর রশিদ বলেন, “ভুল বোঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।”
ঘটনা সম্পর্কে জানতে ছাত্রলীগ নেতা আকাশ রিয়াদ-সজল গ্রুপর কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
এস.এম/ডিএস
মন্তব্য করুন