যুদ্ধের এক দিনেও কিয়েভ দখল নিতে পারেনি রাশিয়া


ইউক্রেনের একের পর এক শহর দখল ও ধ্বংস করেছে রুশ বাহিনী। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে এখন ক্ষতবিক্ষত ইউক্রেন। বহু ইউক্রেনীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এর পরেও রাশিয়ার কিয়েভ দখলের স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
খবর দ্য ওয়ালের
যুদ্ধের একশ দিনেও কিয়েভ দখল নিতে পারেনি রাশিয়া
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, দেশের প্রায় ২০ শতাংশ দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। কিন্তু কিয়েভে এখনও নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি তারা। রুশ বাহিনীকে ঠেকাতে মরিয়া হয়ে লড়ে যাচ্ছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের দক্ষিণে বন্দর শহর মারিউপোল বেশ কিছুদিন ধরে অবরোধ করে রেখেছিল রুশ সেনারা। শহরের মধ্যে আজভস্তাল স্টিলওয়ার্কস নামে কারখানা চত্বরে ছিল ইউক্রেনের কয়েকশ সেনা। কিয়েভ থেকে জানানো হয়, আজভস্তাল স্টিলওয়ার্কস ছিল ‘প্রতিরোধের প্রতীক’। সেখানে বাংকারের মধ্যে ছিল ৬০০ ইউক্রেনীয় সেনা। তারাই এতদিন রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে ঠেকিয়ে রেখেছিল।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর পক্ষে জানানো হয়েছে, স্টিলওয়ার্কের বাংকার থেকে সেনারা এতদিন প্রতিরোধ করছিল বলে রাশিয়া জাপোরোঝিয়া শহরটি দখল করতে পারেনি। পর্যবেক্ষকদের মতে, ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে গিয়ে এমন তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে, রাশিয়া ভাবেনি। মূলত পশ্চিমা দেশগুলো থেকে অস্ত্রশস্ত্র পাচ্ছে বলেই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারছে ইউক্রেন। রাশিয়া ভেবেছিল, যুদ্ধ শুরুর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখল করে নেবে। কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার মতে, রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনে ৭৮ ব্যাটেলিয়ান সেনা মজুত করেছে (সংখ্যার হিসাবে ৭৫ হাজার)। অঞ্চলটিতে আরও সেনা মোতায়েন করার পরিকল্পনা রয়েছে রাশিয়ার।
যুদ্ধ শুরুর সময় থেকেই মস্কোর অন্যতম লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক (একত্রে দনবাস) দখল করা। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে এখনও সেই লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি রাশিয়া।