রোজার সময় মানুষের খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম, ওষুধ গ্রহণের সময়সূচি, ঘুমের সময় ও পরিমাণ পরিবর্তিত হয়। একজন সুস্থ স্বাভাবিক পূর্ণবয়স্ক মানুষ যেভাবে এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন, তা একজন অসুস্থ মানুষ বা হৃদ্রোগীর পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই তাঁদের চাই সতর্কতা।
হৃদ্রোগে আক্রান্ত রোগীদের অনেকের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অ্যাজমা ইত্যাদিও থাকে। তাই রোজার সময় খাদ্যাভ্যাস ও ওষুধপথ্য নতুন করে সময়োপযোগী করে নিতে হয়।
করণীয়
করণীয়
যেসব হৃদ্রোগীর হার্টের পাম্পিং ক্ষমতা স্বাভাবিক, তাঁরা অন্য সবার মতো রোজা রাখতে পারবেন।
হৃদ্রোগীদের বেশির ভাগ ওষুধ দিনে একবার বা দুবার খেলেই হয়। যেসব ওষুধ দিনে একবার খেলে চলে, রোজার সময় সেগুলো রাতের খাবারের সময় নিলেই চলবে।
যেসব ওষুধ দিনে দুবার খেতে হবে, সেগুলো ইফতার ও সাহ্রির সময় খেলে চলবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন দুই ডোজের মধ্যবর্তী সময়টি সংক্ষিপ্ত না হয়। বিশেষ করে রক্তচাপের ওষুধ পর্যাপ্ত ফারাক দিয়ে সেবন করতে হবে। রোজার সময় খাদ্য ও পানির পরিমাণ কমে যাওয়ায় রক্তচাপ কমে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে মাত্রা কমানো যেতে পারে।
হৃদ্রোগের কিছু কিছু ওষুধ (যেমন Nitrate) সকালে ও বিকেলে খেতে হয়, রোজায় সেগুলো সাহ্রি ও ইফতারের সময় সমন্বয় করা যায়। কিছু ওষুধ দিনে তিনবার নিতে হয়, সেগুলো স্লো রিলিজ ফর্মে দিনে একবার বা দুইবারে খাওয়া যায়।
হৃদ্রোগীদের মধ্যে যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। দিনের দীর্ঘ সময় খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ না করায় রক্তে সুগারের পরিমাণ মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে। হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেললে বা মাথা ঝিমঝিম করলে, বুক ধড়ফড় করে প্রচুর ঘাম দিলে সুগারের মাত্রা কমে যেতে পারে বলে সন্দেহ করতে হবে এবং তত্ক্ষণাৎ সুগার পরীক্ষা করা সম্ভব হলে করতে হবে। ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধ ও ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক করতে হবে।
রোজার সময় যেসব ওষুধ দ্রুত রক্তের সুগার কমায় তা এড়িয়ে চলা উত্তম। ই উচিি
মন্তব্য করুন