সোমবার (৩০ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় বৈধ কাগজ না থাকায় মায়া ক্লিনিকের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখাসহ যে সমস্ত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাগজ হালনাগাদ নেই, তা হালনাগাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. রফিকুল হাসানের নেতৃত্বে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি প্রতিনিধি দল এই অভিযানে অংশ নেন। এই দিন দুইটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
এসময় এডভান্স ডায়াগন্সটিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনায় গিয়ে সেটি বন্ধ পান সিভিল সার্জন। পরে সেখান থেকে পৌরসভার পাটোয়ারী পাড়ায় মায়া ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ক্লিনিকে পরিদর্শনে যান তিনি। সেখানে এই সময় কর্তব্যরত কোন ডাক্তার এবং নার্স পাওয়া যায় নি। নীতিমালা অনুযায়ী ক্লিনিকের কার্যক্রম পরিচালিনার জন্য সার্বক্ষণিক ডাক্তার ও নার্স থাকা বাধ্যতামূলক। সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে পরিমল দে মার্কেটে অবস্থিত একই প্রতিষ্ঠানের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান প্রতিনিধিদল।
সিভিল সার্জন ডা. রফিকুল হাসান বলেন, “২০১৩ সাল থেকে মায়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স হালনাগাদ নেই। যদিও তারা পরে আবেদন করেছেন কিন্তু কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাব থাকায় লাইসেন্স এখনো নবায়ন হয়নি। ক্লিনিকের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় এবং সেবার মান যতক্ষণ মানসম্মত না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যেসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের হালনাগাদ কাগজ নেই আমরা তা হালনাগাদের জন্য এক মাস সময় দিব। তা না হলে আমরা সেসব প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দিব। আরো যে সব ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক রয়েছে সেগুলোতেও আমাদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পরিদর্শনে যাবেন এবং নির্দেশনা অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সাথে অভিযানের সময় যে সব ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক বন্ধ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান সিভিল সার্জন ডা. রফিকুল হাসান।
এস.এম/ডিএস
মন্তব্য করুন