বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৬১ তম স্থান অর্জন করেছে দেবীগঞ্জের মেধাবী শিক্ষার্থী বিষ্ণু দাস।
সোমবার (১৯ জুন) রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) তাদের ওয়েবসাইটে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে। এতে মেধা তালিকায় ৬১ তম স্থান অর্জন করে CSE (Computer Science Engineering) সাবজেক্টের জন্য মনোনীত হয়েছে দেবীগঞ্জ উপজেলার কৃতি শিক্ষার্থী বিষ্ণু দাস। সে সুন্দরদীঘি ইউনিয়নের শিবেরর হাটের জয়দেব দাসের ছেলে।
বিষ্ণু দাস ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলো এবং প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় সে তার মেধার স্বাক্ষর রেখেছে। ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় সুন্দরদীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ- ৫.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয় এরপর সুন্দরদীঘি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে জেএসসি এবং ২০২০ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৫.০০ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়। এছাড়া ২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ঢাকা নটরডেম কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ- ৫.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া বিষ্ণু দাসের অনুভূতি জানতে চাইলে সে জানায়, “আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি, তিনি আমাকে এই সফলতা দান করেছেন। আমার এই সফলতার পিছনে আমার বাবা-মা এবং আমার শিক্ষকদের অবদান রয়েছে। আমার বাবা- মা সব সময় আমার পাশে ছিলো, আমাকে এগিয়ে যেতে সাহস জুগিয়েছিল আর আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণ আমাকে সর্বদাই দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। আমি তাদের সকলের কাছেই কৃতজ্ঞ।”
দেবীগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুন্দরদীঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন এই কৃতি শিক্ষার্থী বুয়েটের মতো অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধা তালিকায় নিজের জায়গা করে নিয়েছে। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে ৮১ তম, গুচ্ছোভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে ৮৩ তম স্থান অর্জন করে।
বিষ্ণু অভূতপূর্ব সফলতার বিষয়ে সুন্দরদীঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক- মোহিনী রায় বলেন,”বিষ্ণু শুরু থেকেই একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলো এবং সে তার মেধার স্বাক্ষর সব জায়গায় রেখেছে। ঢাবি, গুচ্ছের এবং এবার সে বুয়েটের মেধাতালিকায় ৬১ তম স্থান অর্জন করেছে। এটা সুন্দরদীঘি উচ্চ বিদ্যালয় তথা দেবীগঞ্জ বাসীর জন্য একটি আনন্দের বিষয়। আমি আজ শিক্ষক হিসেবে গর্বিত, আমার শিক্ষার্থী দেশ সেরা বিদ্যাপীঠে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
মেধা তালিকার শীর্ষে বিষ্ণুকে দেখে এলাকায় আনন্দ বিরাজ করছে। এলাকা বাসীর পক্ষ থেকে মাহমুদুল হাসান বলেন, “এই প্রত্যন্ত এলাকা থেকে বুয়েটের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে শীর্ষ একশত জনের মেধা তালিকায় বিষ্ণুকে দেখে আমরা বিস্মিত এবং আনন্দিত । আমাদের এলাকা থেকে এই প্রথম কেউ বুয়েটে মেধা তালিকায় নিজেকে স্থান করে নিয়েছে । আমরা এলাকাবাসী তাকে নিয়ে গর্বিত । বিষ্ণুর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।”
এস.এম/ডিএস
মন্তব্য করুন