গতকাল সোমবার (২৬ জুন) জেলা পরিষদের সাধারণ সভায় বুয়েটের মেধা তালিকায় ৬১ তম হওয়া দেবীগঞ্জের জেলে পরিবারের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থী বিষ্ণুর বিষয়ে আলোচনা হয়। সাধারণ সভার আলোচনায় জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বিষ্ণুর ভর্তি সহ অন্যান্য সকল খরচ এবং একটি ল্যাপটপ কিনে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এবিষয়ে জেলা পরিষদের সাধারণ সদস্য আক্তার হোসেন নিউটন বলেন,” বিষ্ণুর বিষয়টি ‘দেবীগঞ্জ সংবাদ’ প্রতিকার মাধ্যমে সবার নজরে আসে। পরবর্তীতে জেলা পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য তানজিলা ইয়াসমিন তাদের কাছ থেকে দরখাস্ত গ্ৰহন করে জেলা পরিষদে উপস্থাপন করেন। জেলা পরিষদ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বিষ্ণুর ভর্তির টাকা এবং একটি ল্যাপটপ কিনে দেয়া হবে।”
জেলা পরিষদের সহযোগিতার আশ্বাস পেয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে স্বস্থি পেয়েছে বিষ্ণুর পরিবার। এ বিষয়ে বিষ্ণু জানায়,”আমার বাবা একজন সাধারণ জেলে, তিনি অনেক কষ্ট করে আমাদের তিন ভাইকে পড়ালেখা করাচ্ছেন। জানতে পেরেছি জেলা পরিষদ আমার ভর্তির খরচ দিয়ে সহায়তা করতে চেয়েছে এতে আমি এবং আমার পরিবার অনেক খুশি। জেলা পরিষদের সহযোগিতা পেলে আমি অনেক উপকৃত হবো।”
দেবীগঞ্জ সংবাদ এর অফিসিয়াল পেইজে বিষ্ণু দাসকে নিয়ে করা ভিডিও প্রতিবেদনের লিংক https://fb.watch/lqlhW7tsAO/?mibextid=Nif5oz
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৯ জুন) রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) তাদের ওয়েবসাইটে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে। এতে উত্তীর্ণ ১২ শো শিক্ষার্থীর মধ্যে মেধা তালিকায় ৬১ তম স্থান অর্জন করে Computer Science Engineering (CSE) সাবজেক্টের জন্য মনোনীত হয়েছে দেবীগঞ্জের কৃতি সন্তান বিষ্ণু দাস। সে উপজেলার সুন্দরদীঘি ইউনিয়নের শিবের হাট গ্ৰামের জয়দেব দাসের ছেলে। তার বাবা পেশায় একজন জেলে এবং তার মা জয়ন্তী রাণী দাস একজন গৃহিণী। ৩ ভাইয়ের মধ্যে বিষ্ণু সবার বড়।
•ছবি: রাশিনুর রহমান, ফটো জার্নালিস্ট, দেবীগঞ্জ সংবাদ
এস.এম/ডিএস
মন্তব্য করুন