জানা যায়, ১৪৩০ বঙ্গাব্দে দেবীগঞ্জের তিনটি বালুমহালের মধ্যে শুধু তেলিপাড়া বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়েছে। বাকী দুইটি অর্থাৎ দেবীগঞ্জ ও সোনাপোতা বালুমহাল এখনো ইজারা দেওয়া হয়নি।
এইদিকে দেবীগঞ্জ বালুমহাল ইজারা দেওয়া না হলেও এর আওতাধীন অংশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রশাসনের নাকের ডোগায় দিনের পর দিন অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন হলেও সে ব্যাপারে কোন তথ্য নেই প্রশাসনের নিকট। অভিযোগ রয়েছে, এখান থেকে প্রতিদিন যে কয়েক ট্রাক বালু বিক্রি হয়, সেখান থেকে ট্রাক প্রতি নির্দিষ্ট হারে টাকা পায় তেলিপাড়া বালুমহালের ইজারাদার। ফলে এই অবৈধ বালু উত্তোলনে তারাও প্রশাসনের নিকট কোন অভিযোগ দেন না।
প্রতিদিন প্রায় দেড় শতাধিক ট্রাক্টর বালু উত্তোলন করে তা শরীফবাজার সংলগ্ন ফেডারেশন মাঠে মজুদ করা হয়। এরপর সকাল থেকে রাত অবধি ট্রাকে বালু লোড দেওয়া হয় বিক্রির উদ্দেশ্যে।
রবিবার (৪ জুন) বিকালে ফেডারেশন মাঠে গিয়ে দেখা যায় দুইটি ট্রাকে বালু লোড করছে শ্রমিকরা। এই সময় সাংবাদিক পরিচয়ে তাদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কথা বলতে রাজি হননি। এমনকি বালু ব্যবসার সাথে কারা জড়িত সেই বিষয়েও কোন সদুত্তর দেয়নি।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের জন্য একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি গ্রামীণ সড়কের স্থায়িত্ব কমার সাথেসাথে নদীর পাড়ে ভাঙ্গন ঝুঁকি বাড়ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বালু উত্তোলন পয়েন্ট থেকে পাশেই উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির সুমন আহমেদের বাড়ি হলেও কখনই অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান না তিনি। ফলে এখানে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বালু ব্যবসায় জড়িত সিণ্ডিকেটটি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম ফেরদৌস বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে তাৎক্ষণিক তিনি ফোনে এসি ল্যান্ডকে বিষয়টি যাচাই করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।”
সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম রব্বানী সরদারের নিকট এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে আমার বলার এখতিয়ার নেই।”
রবিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে জানা যায়নি।
এস.এম/ডিএস
মন্তব্য করুন