বুধবার (৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদ সম্মুখে ভাউলাগঞ্জ-পঞ্চগড় সড়কে প্রায় দেড় শতাধিক এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মামলার নথি ও ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৩ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে একই ইউনিয়নের তিস্তাপাড়া বানিয়াপুর এলাকার সফিকুল ইসলামের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে দেবীগঞ্জ ও চিলাহাটি ফায়ার সার্ভিসের পৃথক দুইটি দল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে সফিকুল ইসলামের পুরো বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হন তিনি। সফিকুল ইসলাম ছাড়াও পার্শ্ববর্তী দুইজন প্রতিবেশীর বাসাতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত হতে পারেনি।
এই ঘটনায় গত রবিবার (২ জুলাই) সফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রতিবেশী এবং আত্মীয় মজিবুল ইসলামের ছেলে আব্দুল কাদের ও আব্দুল কাদেরের ছেলে সৈয়াইব ইসলাম বাপ্পীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, ভুক্তভোগী বাবা-ছেলের ভাউলাগঞ্জ ও ফুলবাড়ি বাজারে পৃথক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। ঘটনার সময় তারা নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান করছিলেন। এমনকি সেদিনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাদের বাড়িতে আগুন ছড়াতে শুরু করলে ঘরের আসবাবপত্র দ্রুত সরিয়ে নেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি।
মানবন্ধনে ভুক্তভোগী বাবা-ছেলে বলেন, আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী এবং আত্মীয় তারা। অগ্নিকাণ্ডে তাদের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাতে আমরা মর্মাহত। তবে এভাবে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা দায়েরের বিষয়টি বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। অগ্নিকাণ্ডের সাথে আমরা জড়িত থাকলে আজ এতগুলো মানুষ এই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধনে আসতেন না।
এই বিষয়ে মামলার বাদী সফিকুল ইসলাম বলেন, এর আগেও আমার এবং আমার ভাইদের বাড়ির পাশের খড়ের গাদায় অগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল। সর্বশেষ বাসায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি তারাই ধারাবাহিকতায় ঘটেছে। এইসব ঘটনায় তারা জড়িত না থাকলে দূরের মানুষ এসে এমনটা করবে না।
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে আদালত থেকে এই বিষয়ে এখনো কোন নির্দেশ আসেনি আমাদের নিকট। আদালতের নির্দেশ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এস.এম/ডিএস
মন্তব্য করুন