আবর্জনার ভাগাড়ের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন নাকি ভূমি অফিসে ভূমি সেবা নিতে গিয়েছেন বুঝার উপায় নেই। প্রকট দুর্গন্ধে দম আটকে যাওয়ার মতো অবস্থা। গা গুলিয়ে উঠে মুহূর্তেই। এরই মাঝে চলছে নাগরিকদের ভূমি সেবা প্রদান। নেহাৎ বাধ্য না হলে এমন পরিবেশে সাধারণ মানুষ আসতে চাবেন না।
ভূমি অফিস চত্বরের পাশেই সীমানা দেওয়াল ঘেঁষে রয়েছে ব্রয়লার মুরগির দোকান। এই সব দোকানে প্রতিদিন যত মুরগি জবাই করে মাংস বিক্রি করা হয় তার সব উচ্ছিষ্ট ভূমি অফিসের দেওয়ালের উপর দিয়ে ভূমি অফিস এলাকায় ফেলা হয়। দিনের পর দিন এভাবে মুরগির উচ্ছিষ্ট ফেলতে থাকায় তা স্তূপ হয়ে পচে গিয়ে দুর্গদ্ধ ছড়াচ্ছে পুরো ভূমি অফিস এলাকায়। অফিস কর্তৃপক্ষ বারবার এই ব্যাপারে মৌখিকভাবে সতর্ক করলেও সেদিকে কর্ণপাত না করেই প্রতিদিন মুরগির উচ্ছিষ্ট ফেলছে ব্যবসায়ীরা।
শুধু মুরগি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য নয় বরং ভাউলাগঞ্জ বাজারে পুরনো যে পাবলিক টয়লেট রয়েছে সেটির বর্জ্য সেপটিক ট্যাংকে সরবরাহের জন্য ভূমি অফিসের জায়গা দিয়ে পাইপ লাইন স্থাপন করা হয়েছিল। সেই পাইপ লাইন ভেঙ্গে গিয়ে বর্জ্য সেপটিক ট্যাংকে না গিয়ে ভূমি অফিসের ভবনের উত্তর-পশ্চিম দিকে জমা হচ্ছে।
এভাবে ভূমি অফিসের পরিবেশ ক্রমাগত নষ্ট হলেও সেদিকে গুরুত্ব দেননি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তাদের এমন দায়সারা মনোভাবে অতিষ্ঠ চিলাহাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত ব্যক্তিরাসহ সেখানে আসা সেবাগ্রহীতারা।
চিলাহাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, “লিখিত ভাবে আমরা বিষয়টি সহকারী কমিশনার স্যারকে জানিয়েছি। এমন পরিবেশে চাকরি করলে যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়বে।”
এই বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী সরদার বলেন, “আমরা বেশ কয়েকবার ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছি। কিন্তু তারা শোনেননি। এই বিষয়ে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”
জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, “ভূমি অফিসের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এসিল্যান্ড কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে।”
এস.এম/ডিএস
মন্তব্য করুন