পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বড় ভাইয়ের লাঠির আঘাতে জুয়েল রানা শাহিন(২৬) এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে এগারোটায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহীনের মৃত্যু হয়। নিহত শাহিন দেবীগঞ্জ উপজেলার চেংঠি হাজারাডঙ্গা ইউনিয়নের বাগদহ দিয়াল পাড়া এলাকার সাইফুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, নিহত শাহিন দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। বাসায় রেখে তার চিকিৎসা করানো হচ্ছিলো। তবে, প্রায়ই বাড়ীতে বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করতো শাহিন। একারনে অভিযুক্ত বড় ভাই সোহাগ তাকে নিয়মিত শাসন করতেন। গত ১৮ এপ্রিল শাহিনের অত্যাচারে বিরক্ত হয়ে বড় ভাই লাঠি দিয়ে শাহিনের মাথায় আঘাত করে। এতে গুরুতর আহত হয় শাহিন। প্রথমে গ্রামে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় শাহিনকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার মৃত্যু হয় তার। গতকাল রাতেই শাহীনের মরদেহ বাড়ীতে নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন।
এদিকে,বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে বড় ভাইয়ের লাঠির আঘাতে শাহীনের মৃত্যুর খবর পেয়ে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল শাহিনের বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসে। এঘটনায় নিহত শাহিনের বাবা সাইফুর রহমান বাদী হয়ে নিহতের ভাই সোহাগ ও মা আফসুরা খাতুনকে বাদী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
লাঠির আঘাতে যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, “মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের বাবা বাদী হয়ে নিহতের বড় ভাই এবং মায়ের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় তাদের দুজনকেই গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে।”
এস.এম/সর্দার
মন্তব্য করুন