গতকাল শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে দেবীগঞ্জ পৌরসভার কলেজ পাড়ায় মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে মোঃ রিপন ইসলাম (২২) ও মোঃ রানা ইসলাম নামে দুই যুবককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মৃত হযরত আলীর ছেলে মোঃ শামীম ইসলাম এবং তার ছেলে সুজন ইসলাম, সাকিব ইসলাম ও ভাতিজা মনির এর বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী মোঃ রিপন ইসলাম পৌরসভার কলেজ পাড়া এলাকার মোঃ আবুল কালাম আজাদের ছেলে এবং মোঃ রানা ইসলাম সোনাহার মল্লিকাদহ ভাটিবাড়ী এলাকার মোঃ হাবিবুর রহমানের ছেলে।
ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ভোর রাতে পাটোয়ারী পাড়ার কালুর হোটেল থেকে খাওয়া দাওয়া করে রিপন ও রানা বাসায় ফিরছিল। এসময় অভিযুক্ত শামীমের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি তাদের আটক করে তার ভ্যানের চার্জার চুরির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তারা চুরির কথা অস্বীকার করলে তাদের দুজনকে গাছের সাথে বেঁধে রাখেন।
সকালে রিপন ও রানাকে অভিযুক্ত শামীম ও তার ছেলে সুজন ইসলাম, সাকিব ইসলাম ও ভাতিজা মনির পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করেন। মারপিটের সময় রিপন ও রানা বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার চেঁচামেচি করলে এলাকার মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং দেবীগঞ্জ থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীদের আটক করে রাখার বিষয়ে অভিযুক্ত শামীম জানায়, “কিছুদিন আগে তার ভ্যানের চার্জার চুরি হয়। ভোররাতে রানা ও রিপনকে বাড়ির সামনে থেকে যেতে দেখে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করি। আমার সন্দেহ হওয়ায় তাদের আটক করে রেখেছিলাম।”
এঘটনার বিষয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার দিন এলাকায় কোনো কিছু চুরি যায়নি। ইতিপূর্বে আমাদের এলাকায় গরু, ছাগল, মটর পাম্প,বিভিন্ন সামগ্রী চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ধারনা করা হচ্ছে মাদকসেবীরা এ ধরনের কাজ করতে পারে। রিপন ও রানা মাদক সেবন করে তাই সন্দেহভাজন হিসেবে ভোরে আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রাখে শামীম।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী মোঃ রিপন ইসলামের বাবা মোঃ আবুল কালাম জানায়, “আমি পারিবারিক কাজে ময়মনসিংহ এসেছি। আমি শুনেছি পূর্ব শত্রুতার জেরে মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে আমার ছেলেকে মারধর করা হয়েছে। আমি এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিবো।”
এ বিষয়ে জানতে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম জানায়, “রিপন ও রানার বিরুদ্ধে পূর্বের মামলার ওয়ারেন্ট আছে, ওয়ারেন্টমূলে আমরা তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করেছি। শুক্রবারের ঘটনার কোন মামলা হয়নি।”
– লালন সরকার/এস.এম/ডিএস
মন্তব্য করুন