দেবীগঞ্জ উপজেলায় আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মজাহেরুল ইসলাম কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানার খাবার খেয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, ১৪ জন ছাত্র ও বাবুর্চি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। খাদ্যে বিষক্রিয়ায় এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকেরা।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থ ব্যক্তিরা সবাই দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। অসুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান, বাবুর্চি জামিলা বেগম এবং হেফজ শাখা, নুরানি শাখা ও নাজেরা শাখার ১৪ ছাত্র আছে। দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম এমু বলেন, ‘গতকাল বিকেলের দিকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও ছাত্ররা পেটব্যথায় আক্রান্ত হন। বারবার বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, এমন খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ১৬ জনকে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাঁরা বেলা আড়াইটার দিকে দুপুরের খাবার খেয়েছিল।’
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান জানান, ‘প্রতিদিনের মতো গতকালও বাবুর্চি জামিলা বেগম দুপুরের খাবার রান্না করেন। বেলা আড়াইটার দিকে আমরা রান্না করা মসুর ডাল ও আলু দিয়ে ভাত খেয়েছি। খাওয়ার প্রায় দুই–আড়াই ঘণ্টা পর সবারই মাথা ঘোরাচ্ছিল। এরপর পেটব্যথাসহ বারবার বমি হচ্ছিল। এতে সবাই দুর্বল হয়ে পড়লে সন্ধ্যার আগে স্থানীয় লোকজন আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। খাবার খাওয়ার সময় আমরা কোনো সমস্যা বুঝতে পারিনি। তবে খাওয়ার সময় বাবুর্চি জামিলা বেগম একবার বলেছিলেন, ডালটা নাকি তাঁর কাছে একটু টক লাগছিল।’
দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাসিনুর রহমান বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষক–ছাত্রসহ মোট ১৬ জন মাথাঘোরা, বমি, পেটব্যথা ও দুর্বলতা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। অতিরিক্ত বমির কারণে তাঁদের শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল। আমরা তাঁদের চিকিৎসা দিচ্ছি। তাঁদের সবার শরীরের অবস্থা এখন উন্নতির দিকে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে এমনটা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন