এমন ঘটনাটি ঘটে জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার দহলা খাগড়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
তীব্র গরমে শিক্ষার্থীদের ক্লান্তি দূর করতে বিদ্যালয়ের নিজস্ব গাছের সুস্বাদু আম দিয়ে শরবত তৈরি করে তাদের খাওয়ান শিক্ষকরা। এছাড়া শিক্ষিকারা আম কেটে শিক্ষার্থীদের মাঝে খেতে দেন। এরকম কয়েকটি ছবি দীপঙ্কর সাহা নামে এক শিক্ষক তার নিজের ফেইসবুক আইডিতে পোস্ট করলে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায় এবং ন্যাটিজেনদের প্রশংসা কুড়াতে থাকে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ে সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোঃ ফজলুল হক জানান,”প্রচন্ড গরমে বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও ক্লান্ত। স্কুলে ২০১৮ সালে কিছু ফলের গাছ লাগানো হয়েছিল সেই ফলের গাছগুলোতে এবার ফল এসেছে । তাই আমরা সিদ্ধান্ত নেই ফল গুলো শিক্ষার্থীদের খাওয়ানো হবে। যেহেতু গরমে সবাই তৃষ্ণার্ত তাই আম দিয়ে তাদের শরবত তৈরি করে খাওয়ানো হয়েছে।”
সুমাইয়া আক্তার নামে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়,”গরমে ক্লাস করতে করতে গলা শুকিয়ে যায়। তাই স্যাররা আমাদের সবাইকে শরবত বানিয়ে খাওয়াইছে, আম খেতে দিছে।”
সাইদ হোসেন নামের আরেক শিক্ষার্থী জানায়, “স্যার- ম্যাডামরা আমাদের অনেক আদর করে। পড়ালেখার পাশাপাশি আমাদের ভালো-মন্দ সব কিছুর খোঁজ খবর রাখে। আজকে আমাদের আম, শরবত খাওয়াইছে, আমরা সবাই অনেক খুশি হয়েছি।”
এবিষয়ে ১৪০ নং দহলা খাগড়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক- মোঃ জসিয়ার রহমান বলেন,”আমারা পাঁচ জন শিক্ষক সর্বদাই শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের যত্ন নেয়ার চেষ্টা করি। গরমে শিক্ষার্থীরা ক্লান্ত হয়ে যায় তাই বিদ্যালয়ের নতুন গাছের ফল ও ফলের শরবত শিক্ষার্থীদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়।”
২০১৬ সালে বিলুপ্ত সিট মহলে দহলা খাগড়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ১৬৩ জন শিক্ষার্থী ও পাঁচ জন শিক্ষক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, তীব্র তাপদাহের কারনে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে আগামী ৫ জুন থেকে ৮ জুন পর্যন্ত দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এস.এম/ডিএস
মন্তব্য করুন