শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে বাকপ্রতিবন্ধী রাকিবুল ইসলাম ও তার মা রোকেয়া বেগম এই অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেন। ভুক্তভোগী বাকপ্রতিবন্ধী রাকিবুল ইসলাম শালডাঙ্গা ইউনিয়ের ছত্র শিকারপুর এলাকার মৃত রফিজ উদ্দিনের ছেলে।
রাকিবুল ইসলাম বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় তার মা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৮ আগস্ট আমার ছেলে পারিবারিক প্রয়োজনে প্রতিবেশী ময়দান আলীর ছেলে আব্দুর রশিদের নিকট থেকে তিনশ টাকার স্ট্যাম্পে হাওলাদনামা সম্পাদনের মাধ্যমে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা হাওলাদ নেন। উক্ত টাকা আগামী বছর ২৮ ফেব্রুয়ারী পরিশোধের কথা রয়েছে।
এক পর্যায়ে রশিদ ২৮ শে অক্টোবর ৫ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছেন মর্মে আরেকটি স্ট্যাম্প তৈরী করে এবং রাকিবুলের স্বাক্ষর জাল করেন। এছাড়াও ৬০ হাজার টাকা বায়নামায় ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা মূল্যের ৬০ শতক জমির একটি ভূয়া বায়নামা দলিল তৈরী করে রশিদ।
সংবাদ সম্মেলনে রাকিবুল দাবি করেন তাঁর ৬০ শতক জমি গত ১৮ নভেম্বর রাতে রশিদ তার লোকজন সহ জোরপূর্বক হালচাল করেন। এর প্রেক্ষিতে ২১ শে নভেম্বর রশিদের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ দাখিল করেন। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ তার সমস্যার সমাধান দিতে পারেননি। বর্তমানে তিনি জমিতে হালচাষ করতে গেলে রশিদ ও তার লোকজন তাকে হালচাষে বাধা এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রদর্শন করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে আব্দুর রশিদ বলেন, “রাকিবুল আমার কাছে ৫ লাখ টাকা নিলেও এখন সে অস্বীকার করছে। আমি এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
এইদিকে এই ঘটনায় রাকিবুল দেবীগঞ্জ থানায় পৃথক দুইটি লিখিত অভিযোগ দেন। তবে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এখন পর্যন্ত আইনি সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেন রাকিবুলের মা।
এ সম্পর্কে জানতে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, “অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত হচ্ছে। দলিল জাল না আসল তদন্তে বুঝা যাবে।”
এস.এম/ডিএস
মন্তব্য করুন