লিখিত বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সম্প্রতি ২০ মে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে উপজেলা রিকসা ভ্যান শ্রমিক লীগের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। যেখানে সংগঠনের সভাপতি হিসেবে আমাকে দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়। একই সংগঠনে গত মেয়াদে উপদেষ্টা হিসেবে আমি দায়িত্ব পালন করেছি। মে দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে পূর্বের কমিটির সময় র্যাফেল ড্র এর উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২৫ মে কেন্দ্রীয় কমিটি র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত নতুন কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে। তবে বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। গত ২৮ মে নতুন কমিটির সদস্যদের নিয়ে পরিচিতি সভার আয়োজন করা হয়। পরিচিতি সভার এক পর্যায়ে উপজেলা কৃষকলীগের সম্পাদক আশরাফুল আলম এমু ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জনসম্মুখে বলতে থাকেন, আমি ঢাকা থেকে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে কমিটি নিয়ে এসেছি। একই সাথে স্থানীয় এক সাংবাদিকের ফেইসবুক পেইজ থেকে আমার নামে কুরিয়ারে কমিটির কার্যক্রম স্থগিতের চিঠি আসে বলে প্রচার করা হয়। অথচ কুরিয়ারে চিঠি আসে নতুন কমিটির সম্পাদক ইউসুফ আলীর নামে, বিষয়টি আমি সেদিন জানতে পারি। উক্ত দুই ঘটনায় মিথ্যা তথ্য প্রচার করে আমাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা হয়েছে। এতে আমার মানহানি হয়েছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আ. লীগ সভাপতি আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের বিষয়ে উপজেলা আ. লীগের সভাপতি হিসেবে দলীয় ফোরামে বিষয়টি উত্থাপন করব।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক- আশরাফুল আলম এমু বলেন, “র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত নতুন কমিটির কার্যক্রম স্থগিতের বিষয়টি আমরা অবগত হলেও তারা জানেন না বলে দাবি করেন। এইজন্যই সেদিন পরিচিতি সভায় গিয়ে আমরা বিষয়গুলো উত্থাপন করি। র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হোক। এরপর কেন্দ্র পছন্দের কাউকে দায়িত্ব দিবেন নাকি নির্বাচনের মাধ্যমে দায়িত্ব অর্পণ করবেন সেটা তারাই সিদ্ধান্ত নিবেন।”