দীর্ঘ ৬১ ঘণ্টার চেষ্টার পর বিএম কন্টেইনার ডিপোর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন কসেনাবাহিনীর ২৪ বিগ্রেড ১৮ বি এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আরিফুল ইসলাম হিমেল।
তিনি জানান, ডিপো এখন ঝুকি মুক্ত। বড় ধরনের আগুন লাগার সম্ভাবনা নেই। পাশাপাশি হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড এর কন্টেইনারগুলো আলাদা করা হয়েছে।
এছাড়া ডিপোতে আর কোন কেমিক্যাল ছিলো কিনা সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল তা নিয়ে কাজ করছে।
চরম অব্যবস্থাপনা ছিলো বিএম কন্টেইনার ডিপোতে। নিয়ম না মেনে ২৭ টি হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড কন্টেইনার রাখা ছিল সেখানে। এর ভেতর ১৫টি কন্টেনার চিহ্নিত করা গেলেও খোঁজ মেলেনি বাকি ১২ টির। কনটেইনারগুলোতে স্তুপ করে রাখা ছিল হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড। আগুনের তীব্রতা বাড়াতে সাহায্য করে এই দাহ্য পদার্থ।
লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আরিফুল ইসলাম হিমেল জানান, বোঝার উপায় নাই কনটেইনারগুলোতে স্তুপ করে রাখা ছিল দাহ্য পদার্থ নাকি কাপড়ের পণ্য! তেমন কিছুই লেখা ছিলো না। তারপরও দাহ্য পদার্থগুলো রাখা হয় একত্রে।
উল্লেখ্য, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ভয়ংকর বিস্ফোরণ ঘটে। আশপাশে থাকা দমকলকর্মী, শ্রমিক ও বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ এ বিস্ফোরণে হতাহত হন।
এ ঘটনায় ৪১ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ২০০ জনের বেশি। দমকল বিভাগ জানিয়েছে, আগুন নেভাতে গিয়ে তাদের ৯ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।
এই কনটেইনার ডিপোতে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রাসায়নিক থাকায় সেখানে এত বড় বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আর এই রাসায়নিকের কারণেই আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে ফায়ার ফাইটারদের।
মন্তব্য করুন