বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে কোনো ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। এতে দূরপাল্লার বাহনগুলো নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না। হঠাৎ বৈরী এ আবহাওয়ার কারণে অফিসগামী ও শ্রমজীবী মানুষেরা বিপাকে পড়েছেন।
সাধারণত ২০০০ মিটার দৃষ্টিসীমা থাকলে রানওয়েতে বিমান উঠানামা করতে পারে। কিন্তু সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় বিমানবন্দর এলাকায় দৃষ্টিসীমা ছিল মাত্র ৫০ মিটার। সকাল ৮টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০ মিটার। তাই বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি।
স্কুল ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার
সূত্রটি আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, দৃষ্টিসীমা কম থাকায় সকাল থেকে ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ারের দুটি ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেনি। ফলে ওই দুটি ফ্লাইটের ঢাকাগামী শতাধিক যাত্রী সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আটকা পড়েছে। সূচি অনুযায়ী সকাল ৭টা ২০ মিনিটে নভোএয়ার ও সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ দুটি ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করত।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ বলেন, আজ ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। শীতকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রায় দিনেই উড়োজাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটে থাকে। এ জন্য শীতকালে এয়ারলাইনসের ফ্লাইটগুলো আলাদা শিডিউলে চলাচল করে। আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে নতুন ওই সূচি কার্যকর হবে।
আর.ডিবিএস
মন্তব্য করুন