বনানী কবরস্থানে নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি কবরের স্থায়িত্ব দুই বছর। এজন্য রুবেলের সহধর্মিণী চৈতি ফারহানা রূপার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চাওয়া, তাদের একমাত্র ছেলের রুশদানের কথা ভেবে হলেও রুবেলের কবর স্থায়ী করা হোক।
২২ এপ্রিল (শুক্রবার)ছেলে রুশদানকে নিয়ে রুবেলের সহধর্মিণী চৈতি ফারহানা রূপা কবর জিয়ারত করতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘রুবেল তো আসলে আমাদের সবার, তাই না? রুবেল তো এই দেশের জন্য খেলেছে। মাত্র দুই বছরের জন্য এখানে। সত্যি কথা বলতে এখানে স্থায়ী করতে হলে অনেক টাকা লাগে, প্রায় এক কোটি টাকা। আমার কাছে তো এতগুলো টাকা নেই। আমি চাই রুবেলের কবরটা স্থায়ী হোক। রুবেল যেন একটু মাটি পায়।’
২০১৯ সালে মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পরে রুবেলের। এর পরই মাঠ থেকে ছিটকে পড়েন রুবেল। পর্যাপ্ত চিকিৎসা নিয়ে প্রায় সেরে উঠলেও পরবর্তীতে নতুন করে টিউমার ধরা পড়ে তার মস্তিষ্কে। নতুন করে টিউমার ধরা পরায় এই ক্রিকেটার সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা করান।
সেখানে সুস্থ না হওয়ায় ভারতের একটি হাসপাতালে গত বছরের নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে আবারও অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রুবেলের ব্রেন টিউমার অপসারণ করা হয়। অস্ত্রোপচারের পরেও খুব একটা উন্নতি হয় না। অবশেষে গত ১৯ এপ্রিল সবাইকে চিরবিদায় বলে দিলেন রুবেল! তিন বছর ধরে তার ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ টানতে হিমশিম খেতে হয়েছে তার পরিবারকে। তাদের এখন সাধ্য নেই কোটি টাকা দিয়ে কবর স্থায়ী করানোর।
রুবেলের স্ত্রী চৈতি ফারহানা রূপা আরও বলেন,‘রুবেলের জন্য একটা স্থায়ী মাটি যাতে আমার ছেলেটা দেখতে পারে। দুই বছর পর তুলে ফেললে আমরা রুবেলকে তো আর দেখতে পারব না। রুবেল তো অন্য কোথাও নেই, শুধু এখানে আছে।’
আরএইচ/দেস
মন্তব্য করুন