সারাদেশেই বেড়েছে চালের দাম। কেজিতে বাড়তি ২ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত। কাজে আসেনি নিয়ন্ত্রণে রাখার কোনো উদ্যোগই। বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
এ ছাড়া সকালে রাজশাহীর বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৪ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত।
দিনাজপুরে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের সব উদ্যোগই ব্যর্থ হয়েছে। আবারও বেড়েছে প্রতি বস্তায় ৫০ থেকে ৮০ টাকা। খুচরাবাজারে প্রতি কেজি ৩ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। সকালে বিভিন্ন বাজারে গিয়ে এ সব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে নওগাঁর মোকামে সব ধরনের চাল কেজিতে ৪-৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন মিলাররা। তাদের অজুহাত, লোডশেডিং আর বাজারে ধানের বাড়তি দর। খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অধিক মুনাফার সুযোগ নিচ্ছেন মিল মালিকরা। আর দফায় দফায় চালের দাম বাড়ায় ক্রেতারা পড়েছেন বেকায়দার।
আরোও পড়ুন : তোমার এই মায়াবীনি কপালে ছোট্ট কালো টিপ
ধান-চালের জেলা নওগাঁয় চলতি সপ্তাহে সব ধরনের চাল মিল পর্যায়ে বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বাড়িয়ে দেন মিলাররা।
বাজার পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, গত সপ্তাহে স্বর্ণা, জিরাশাল, কাটারিভোগ ও মিনিকেট বিক্রি হয়েছে যথাক্রমে বস্তাপ্রতি ২ হাজার ৪০০, ৩ হাজার ৫০০, ৩ হাজার ৫০০ ও ৩ হাজার ২৫০ টাকায়। চলতি সপ্তাহে দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ৫৫০, ৩ হাজার ৬৫০, ৩ হাজার ৭৫০ ও ৩ হাজার ৩৫০ টাকা।
পাইকারি বাজারে চালের দর বাড়ার কারণে প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। বিভিন্ন অজুহাতে মিলাররা অধিক মুনাফার সুযোগ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ খুচরা ব্যবসায়ীদের।
হঠাৎ চালের দর বাড়ানোর কারণ হিসেবে চালকল মালিকরা দেখাচ্ছেন নানা খোঁড়া যুক্তি।
আরোও পড়ুন :মিয়ানমারের ৬ নাগরিকসহ আটক ৯
বাংলাদেশ অটোমেটিক রাইস মিল সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আমাদের দেশে শুরু হয়েছে রুটিনমফিক লোডশেডিং। এতে বেড়ে গেছে উৎপাদন ব্যয়। আমার মনে হয় যেখানে চাল প্রস্তুত করা হয়, সেসব মিলকে লোডশেডিংয়ের আওতার বাইরে রাখা উচিত।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, গত বোরো মৌসুমে জেলায় সাড়ে ১২ লাখ মেটিক টন ধান উৎপাদন হয়। আর এখানে ৫৬টি অটো ও ছোট-বড় সাড়ে ৯০০ হাসকিং মিল রয়েছে ।
মন্তব্য করুন