বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকালে রাঙ্গামাটি পুলিশ লাইন্সে, ১৮ এপিবিএন রাঙ্গামাটি, ১৯ এপিবিএন বান্দরবান এবং ২০ এপিবিএন খাগড়াছড়ির সদর দপ্তর এবং ডিআইজি, এপিবিএন (পার্বত্য জেলাসমূহ) এর কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ।
ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মোঃ আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী- বীর বাহাদুর উশৈসিং, এমপি; ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন সম্পর্কিত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান- কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি; খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি- দীপংকর তালুকদার, এমপি; সংরক্ষিত নারী আসন-৯ এর সংসদ সদস্য- বাসন্তি চাকমা।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি- মেজর জেনারেল মোঃ সাইফুল আবেদীন, RAB মহাপরিচালক (অতিরিক্ত আইজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন বিপিএম (বার)।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, বোমাং সার্কেলের সার্কেল চিফ উ চ প্রু চৌধুরী, মং সার্কেলের সার্কেল চিফ সাচিং প্রু চৌধুরী এবং চাকমা সার্কেলের সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী- আসাদুজ্জামান খান এমপি বলেন, ” পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার জনগণের নিরাপত্তায় রাঙ্গামাটিতে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) হেডকোয়ার্টার এবং তিন পার্বত্য জেলায় এপিবিএন গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, শান্তিচুক্তি অনুযায়ী সেনাবাহিনী যেসব ক্যাম্প ছেড়ে এসেছে সেই জায়গাগুলোতে এপিবিএন মোতায়েন করা হচ্ছে। ”
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে সরকারের যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তির আলোকে তিন পার্বত্য জেলা হতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৩৮ ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়। পার্বত্য অঞ্চল দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ার কারণে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পাশাপাশি এ এলাকা মাদকের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পুলিশের পক্ষে এককভাবে এ এলাকার আইন শৃঙ্খলা-নিয়ন্ত্রণ করা দুরহ। সরকারের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে তিন পার্বত্য জেলায় এপিবিএন গঠনের ফলে পার্বত্য অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ ও জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হবে।
এস.এম/ডিএস
মন্তব্য করুন