জন উইকে আবারো ঝড়


কিয়ানু রিভস অভিনীত এক অনবদ্য একশনধর্মী সিনেমা ‘জন উইক’। চ্যাড স্ট্যাহেলস্কির পরিচালনায় দর্শকদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয়তা কুরিয়েছে হলিউডের এই সিনেমা।
গতকাল বিশ্বজুড়ে মুক্তি পেয়েছে ‘জন উইক’ সিনেমা সিরিজের চতুর্থ কিস্তি। ভক্তদের প্রশংসার সঙ্গে সমালোচকদের ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে ছবিটি।
‘এই ছবিতে এমন ধরনের অ্যাকশন আছে যা আগে দর্শক দেখেননি,’—অ্যাকশন ছবি মুক্তির আগে এ ধরনের কথা বলেছেন অনেক তারকাই। তবে এই উক্তি করেছেন কিয়ানু রিভস। আর জন উইকের ভক্তমাত্রই জানেন, কতটা সত্যি বলেছেন তিনি। খবর বিবিসির।
কিয়ানু রিভসের ক্যারিয়ার নিয়ে লিখতে গেলে অবধারিতভাবেই আসবে ‘জন উইক’-এর প্রসঙ্গ। ২০১৪ সালে মুক্তির পর অভিনেতার প্রায় ডুবতে বসা ক্যারিয়ারকে চাঙা করেছে এই সিনেমা সিরিজ। ২০১৯ সালে ছবিটির তৃতীয় কিস্তি মুক্তির পর সেটিকেই জন উইক সিরিজের সেরা বলে রায় দিয়েছিলেন দর্শক-সমালোচক। তবে চতুর্থটি মুক্তির পর তাঁরা মত বদলে বলছেন, এটাই সেরা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চলচ্চিত্র রিভিউ সাইট রটেন টোম্যাটোজে ছবিটির রিভিউ খুবই ইতিবাচক, ৯৫ শতাংশ।
আগে ‘জন উইক ২’ ও ‘জন উইক ৩’ পেয়েছিল ৮৯ শতাংশ। রোলিং স্টোনের সমালোচক ডেভিড ফিয়ার লিখেছেন, ২০১৪ সালে যখন ছবিটির প্রথম কিস্তি মুক্তি পায়, তখন কে ভেবেছিল এটি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাকশন সিনেমার ইতিহাস বদলে দেবে!
চ্যাড স্ট্যাহেলস্কি পরিচালিত এবারের কিস্তিতে গুপ্তঘাতক জন উইককে দেখা যাবে কুখ্যাত অপরাধী সংগঠন দ্য হাই টেবলের মুখোমুখি হতে।
ছবিটি আরও আগে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও কোভিডের কারণে কয়েক দফায় বিলম্বিত হয়েছে। ২০২১ সালের জুনে শুটিং হয় ১০০ মিলিয়ন বাজেটের ছবিটির। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া শুটিং হয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, জাপানেও।
ছবিটি মুক্তির মাত্র এক সপ্তাহ আগে মারা যান অভিনেতা ল্যান্স রেডডিক। ১৭ মার্চ অভিনেতার মৃত্যুর পর ছবিটিকে প্রয়াত অভিনেতার প্রতি উৎসর্গ করার ঘোষণা দেন নির্মাতা। মুক্তির আগে প্রিমিয়ারে কিয়ানু রিভস বলেন, তাঁর হঠাৎ চলে যাওয়া অবিশ্বাস্য। প্রায় দশ বছর ধরে তাঁর সঙ্গে কাজ করাটা ছিল আনন্দের।