চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নুরমার দীঘি এলাকায় চট্টগ্রামমুখী লেনে এ ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজনের তৎপরতায় বেলা পৌনে একটার দিকে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, রংপুর থেকে ছেড়ে আসা নিউ এডিশন নামের যাত্রীবাহী বাসটি ৪২ যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ওই বাসের বৈদ্যুতিক তারে ত্রুটি দেখা দিলে দীর্ঘ সময় ধরে আগুন জ্বলতে থাকে। তবে আগুনের পরিমাণ কম থাকায় বাসের যাত্রীরা সেটা অনুমান করতে পারেননি। পরে চলন্ত আরেকটি গাড়ির চালক বিষয়টি খেয়াল করে বাসের চালককে জানালে দ্রুত গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। যাত্রীরা গাড়ি থেকে নামার পরপরই পুরো গাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সোহেল প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছিলেন। ফলে গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ এড়ানো গেছে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভান।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল কাইয়ুম প্রথম আলোকে বলেন, সময়মতো আগুন নেভানো না গেলে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটতে পারত। ওই বাসের বক্সের ভেতর থেকে থাকা নয়টি ছাগল উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ছাগলগুলো হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, যাত্রীবাহী ওই বাসকে পেছন থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা দেওয়ায় আগুন ধরে গেছে, এমন খবরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। কিন্তু আগুন নেভানোর পর ওই বাস পর্যবেক্ষণ করে কোথাও ধাক্কা দেওয়ার চিহ্ন তাঁরা পাননি। সম্ভবত যান্ত্রিক ত্রুটি থেকে গাড়িতে আগুন লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী নাজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, গাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তবে ওই সময় বাসের কোনো যাত্রী, বাসচালক কিংবা চালকের সহকারীকে পাওয়া যায়নি। তাই আগুন লাগার সঠিক কারণ জানতে পারেননি। গাড়িটি উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় নেওয়া হচ্ছে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আর/ডিবিএস