তিন মিনিটে দুই গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় রিয়াল। তবে প্রথমার্ধেই এক গোল শোধ দিয়ে ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় স্বাগতিক চেলসি। কিন্তু বিরতি থেকে ফেরার মিনিট খানেকের মধ্যে হ্যাটট্রিক পূরণ করে সব আলো নিজের করে নেন করিম বেনজিমা। তার দল রিয়ালও পায় রোমাঞ্চকর জয়।
বুধবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে স্টামফোর্ড ব্রিজে চেলসিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়নস লিগে চেলসির বিপক্ষে প্রথম জয় পেল রিয়াল। স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে হ্যাটট্রিক করেছে করিম বেনজিমা। চেলসির হয়ে এক গোল শোধ দেন কাই হ্যাভার্টজ। আগামী ১২ এপ্রিল দিবাগত রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফিরতি লেগে লড়বে দুই দল।
দশম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন ভিনিসিয়ুস। চেলসির এক ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে ভিনির দিকে ঠেলে দেন ভালভারদে। বল পেয়ে খানিকটা সময় বেশি নেওয়ায় চলে আসে চেলসির দুই ডিফেন্ডার। তবুও খানিকটা জায়গা বের করে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে ডান পায়ের শট নেন ভিনি কিন্তু তা ক্রস বারে লেগে বাইরে চলে যায়।
আরও পড়ুনঃ বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
১৫ মিনিটে চেলসির জেমসের নেওয়া ফ্রি কিক বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন থিবো কোর্তুয়া। ২১ মিনিটে চেলসির রক্ষণ ভেঙে রিয়ালকে এগিয়ে নেন করিম বেনজিমা। মাঝ মাঠ থেকে পাওয়া বল ভিনিসিয়ুসের দিকে ঠেলে দিয়ে বক্সে ঢুকে যান বেনজিমা। বাঁ দিক থেকে ভিনির মাপা ক্রসে দুর্দান্ত হেডে জাল খুঁজে নেন করিম বেনজিমা।
মাত্র তিন মিনিট বাদেই আবারও বেনজিমা ম্যাজিক। এই ফরাসি ফরোয়ার্ডের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে রিয়াল। বক্সের কোণা থেকে মদ্রিচের তুলে দেওয়া বলে দুরের পোস্ট থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন বেনজিমা। দুই গোলে এগিয়ে গিয়ে চালকের আসনে বসে রিয়াল। চেলসির মাঠে আধিপত্য দেখায় কার্লো আনচেলত্তির দল। তবে ৪০ মিনিটে কাই হ্যাভার্টজের গোলে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে চেলসি। জর্জিনহোর ক্রসে হেডে জাল খুঁজে নেন হ্যাভার্টজ। ৪২ মিনিটে বেনজিমা সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান আরো বাড়াতে পারতো রিয়াল।
বিরতি থেকে ফেরার এক মিনিটের মাথায় হ্যাটট্রিক পূরণ করেন করিম বেনজিমা। রিয়াল এগিয়ে যায় ৩-১ ব্যবধানে। চেলসির রক্ষণের ভুলে সুযোগ পেয়েই কাজে লাগান এই ফরাসি ফরোয়ার্ড। চলতি মৌসুমে এটি তার ৩৭তম গোল। আর চ্যাম্পিয়নস লিগে ১১তম। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পর বেনজিমা দ্বিতীয় ফুটবলার যে চ্যাম্পিয়নস লিগের নক আউট স্টেজে দু’টি হ্যাটট্রিক করলো।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়া চেলসি ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে। বেশ কয়েকবার রিয়ালের রক্ষণে হানা দেয়। ৫০ মিনিটে এজপিলিকুয়েতার উঁচু করে নেওয়া গতির শট বাজ পাখির মত ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন কোর্তুয়া। ৬৯ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন রোমেলো লুকাকু। অরক্ষিত লুকাকু ফ্রি হেডারের বল জালে জড়াতে পারেনি। বাকি সময়ে আর ঘুরে দাড়াতে পারেনি চেলসি। ফিরতি লেগে কমপক্ষে ৩-০ গোলের জয় দরকার ব্লুদের। আর ২-০ গোলে জিতলে ম্যাচ গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে।
মন্তব্য করুন