এই প্রথম চীনে মানবশরীরে এইচ৩এন৮ বার্ড ফ্লু শনাক্ত হয়েছে। এক শিশুর শরীরে এটি শনাক্ত হয়।

শিশুটির বয়স ৪ বছর। তবে লোকজনের মধ্যে এই ফ্লুর সংক্রমণের ঝুঁকি কম বলে চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে।

২০০২ সালে উত্তর আমেরিকায় এক ধরনের হাঁসে প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর এভিয়ান ফ্লুর এইচ৩এন৮ ধরনটি ছড়াতে থাকে। এটি অতীতে বিভিন্ন পশুপাখির শরীরে সংক্রমিত হলেও মানবশরীরে শনাক্ত হয়নি।

২৬ এপ্রিল ( মঙ্গলবার) চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (এনএইচসি) বলেছে, মধ্যাঞ্চলের হেনান প্রদেশের চার বছর বয়সী এক ছেলের শরীরে এই ফ্লুর ধরনটি শনাক্ত হয়। এপ্রিল মাসের শুরুতে জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

আক্রান্ত শিশুটির বাড়িতে মুরগি পালন করে। তারা এমন এলাকায় বসবাস করে প্রচুর বুনো হাঁস আছে বলে জানিয়েছে এনএইচসি। পাখি থেকে সরাসরি ওই শিশু আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশন।

এনএইচসি আরও জানায়, আক্রান্ত শিশুর সংস্পর্শে আসা অন্যান্য লোকজনের মধ্যে কোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি । ওই শিশুটির আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাটি এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতির সংক্রমণ বলে তারা জানিয়েছেন। এর ফলে ফ্লু টির সংক্রমণ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার তেমন ঝুঁকি নেই।

তবে এনএইচসি, মৃত ও অসুস্থ পাখি থেকে লোকজনকে দূরে থাকতে সতর্ক করেছে। একই সঙ্গে জ্বর অথবা শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সাধারণত বুনো পাখি ও হাঁস-মুরগির এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়ে থাকে। মানবশরীরে সংক্রমণের নজির খুবই কম।

তথ্য সূত্রঃ প্রথম আলো
আরএইচ/দেস