আসুন জেনে নেই ওযু করার সঠিক নিয়ম

Link Copied!

অযু হলো ইসলামের বিধান অনুসারে দেহের অঙ্গ-প্রতঙ্গ ধৌত করার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জনের একটি পন্থা।
মুসলমানদের নামাজের পূর্বে অযু করে নেয়া বাধ্যতামূলক। পবিত্র কুরআনে আছে, “নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন।” (সূরা বাকারা, আয়াত:২২২)
কখন অযু করার প্রয়োজন
- সর্ব অবস্থায় পবিত্রতা থাকার জন্য অজু করা প্রয়োজন ।
- কুরআন পড়তে ও স্পর্শ করতেও অযু করতে হয়।
- যে কোনো নামাজ পড়তে অযু করতে হবে। যেমন: ফরজ
- নামাজ ,নফল নামাজ , সুন্নত নামাজ, জানাজার নামাজ, ঈদের নামাজ ইত্যাদি ।

অযুর ফরজ চারটি
- মুখমন্ডল ধোয়া।
- দুই হাত কনূই পর্যন্ত ধোয়া।
- মাথা এক চতুর্থাংশ মাসেহ্ করা।
- দুই পা টাকনু পর্যন্ত ধৌত করা।
কুরআন ও সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত অযুর সঠিক নিয়ম।
- মনে মনে অযু করার নিয়ত বা সংকল্প করবে।
- দোয়া পড়া। দোয়া না জানলে ‘বিসমিল্লাহ’ বলা
- ডান হাতে পানি নিয়ে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করবে।সেই সাথে হাতের আঙ্গুলগুলো খিলাল করবে।আংটি থাকলে পানি পৌঁছানোর চেষ্টা করবে।
- ডান হাতে পানি নিয়ে গড়গড়িয়ে কুলি করতে হবে এবং নাকে পানি দিবে ও নাক ঝাড়বে।
- কপালের গোড়া থেকে দুই কানের লতীসহ থুৎনীর নীচ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মুখমন্ডল ধৌত করবে। তারপর এক অঞ্জলি পানি নিয়ে থুৎনীর নিচে দিয়ে দাড়ি খিলাল করবে।
- অতঃপর প্রথমে ডান ও পরে বাম হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে।
- এরপর নতুন পানি নিয়ে দুই হাত দ্বারা মাথার সম্মুখ হতে পিছনে ও পিছন হতে সম্মুখে নিয়ে গিয়ে একবার পুরো মাথা মাসাহ করবে।একই সঙ্গে ভিজা শাহাদাত আংগুল দ্বারা কানের ভিতর অংশে ও বুড়ো আংগুল দ্বারা কানের পিঠ মাসাহ করবে।
- অতঃপর ডান ও বাম পায়ের টাখনুসহ ভালভাবে ধৌত করবে।এ সময় বাম হাতের কনিষ্ঠা আংগুল দ্বারা পায়ের আংগুল সমূহ খিলাল করবে।
- ওযূ শেষে বাম হাতে কিছু পানি নিয়ে লজ্জাস্থান বরাবর ছিটিয়ে দিবে।
- অতঃপর দু‘আ পাঠ করবে।
উল্লেখ্য যে, ওযূর অঙ্গগুলো এক, দুই ও তিনবার ধোয়া যায়। এর বেশি ধোয়া যাবে না ।
তথ্য সূত্রঃ ইউকিপিডিয়া
এসএম/দেস