তরুণ এই ইন্দোনেশিয়ান গত ৪ নভেম্বর ২০২১ ইন্দোনেশিয়ার সেন্ট্রাল জাভার ম্যাগেলাং থেকে যাত্রা শুরু করেন এবং গত সপ্তাহে পবিত্র মক্কা নগরীতে পৌঁছে ওমরাহ পালন করেন।এ জন্য তাঁকে অতিক্রম করতে হয়েছে পাঁচ হাজার কিলোমিটার এবং সময় লেগেছে সাড়ে সাত মাস। । স্বদেশি হজযাত্রীদের সঙ্গে হজেও অংশগ্রহণ করবেন তিনি। এবার ইন্দোনেশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মুসল্লি (১লাখ ৫১ জন) হজে অংশগ্রহণ করবেন।
ফাউজান বলেন, ‘আমার লক্ষ্য ছিল হজ্ব করা এবং ইসলামের পবিত্র তিন মসজিদ ভ্রমণ করা।যেমন: মক্কার মসজিদুল হারাম, মদিনার মসজিদ-ই-নববী ও জেরুজালেমের মসজিদে আকসা। হজ শেষ করার পর আমি সাইকেল চালিয়ে ফিলিস্তিনের আল-আকসা ও গালফভুক্ত দেশগুলো ভ্রমণ করব। সাইকেল চালিয়ে হজ করতে পারা আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। আল্লাহর এটা সম্ভব করেছেন। যদিও সাধারণ মানুষ তা অসম্ভব মনে করে। আমি বলতে চাই, আমরা যদি সত্যি দৃঢ়প্রত্যয়ী হই, তবে অবশ্যই যেকোনো কঠিন কাজ করা অসম্ভব নয়।’
ফাউজান ইন্দোনেশিয়ার মাকাস্সার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। তিনি বিশুদ্ধ আরবি বলতে পারেন। বর্তমানে তিনি একটি বিদ্যালয়ের হিফজুল কোরআন বিভাগের শিক্ষক।
তিনি বলেন, ‘সাধারণত ইন্দোনেশিয়ার মুসলিমরা হজ করার জন্য ৪০ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করে। কিন্তু আমি তার আগেই হজ করার ইচ্ছা করি এবং বেতন থেকে টাকা জমাতে শুরু করি।’ তিনি ১০ মিলিয়ন ইন্দোনেশিয়ান রুপি (৬৪ হাজার ২৮০ টাকা) নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী পণ্য বিক্রি করে হজযাত্রার খরচ নির্বাহের জন্য তিনি তা সঙ্গে নেন।
দীর্ঘ এই যাত্রায় ফাউজানকে রমজানের রোজা ও ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে হয় পথেই। তিনি মালয়েশিয়ায় ঈদ উদযাপন করেন।
এস.এম/ডিএস
মন্তব্য করুন