ড্রোনে চেপে উড়ল মানুষ!
মুক্ত আকাশে ভেসে বেড়াতে কার-না শখ জাগে। আকাশে ওড়ার এই শখ, পাখিদের দেখেই প্রথম আসে। একসময় মানুষ আকাশে ওড়ার চেষ্টা করেছে। সেই চেষ্টার ফল, শৈশবে কাগজের প্লেন, যা বানিয়ে ওড়াতাম আকাশে। এরপর সত্যি সত্যি আকাশে আর কাগজের প্লেন নয়, বাস্তবেই উড়ল প্লেন। আবিষ্কার হলো বিমান, হেলিকপ্টার, প্যারাসুট, প্যারাগ্লাইডিং, ড্রোন, বেলুনসহ আরও কত কি! তবে সেসবে প্রকৃত পাখি আর হয়ে ওঠা হয়নি। কিন্তু এবার সত্যিকার অর্থে পাখি হয়ে ওড়ার মতো এক বিশালাকার ড্রোন আবিষ্কার করল আমেরিকার হান্টার কোয়াল্ড।
আরোও পড়ুন: আফগানিস্তানে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ২৫০
অনেক আগেই ড্রোন দিয়ে ইগলের চোখে পৃথিবীকে দেখার সাধ পূরণ হয়েছে মানুষের। সাম্প্রতিক সময়ে যেকোনো ভিডিওচিত্র ধারণ করতেই দেখা যায় ড্রোনের শট। কিন্তু সেই ড্রোনে চেপে যে মানুষও উড়তে পারে, তা ভাবাটা বেশ কঠিন। সেই অসাধ্যকেই সাধন করেছে আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরের এক যুবক হান্টার কোয়াল্ড। তিনি দিব্যি ড্রোনে চেপেই উড়ছেন পুরো শহর। সম্প্রতি এমন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে।
হান্টার কোয়াল্ড তার আশ্চর্য এই যানের নাম দিয়েছেন ‘দ্য স্কাই সার্ফার’। ওই যানে চেপে নিজের শহরে উড়ে বেড়াচ্ছেন এই যুবক, যা দেখে লোকে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাচ্ছে। হান্টার নিজেই সেই আশ্চর্য উড়োযানের ভিডিও সম্প্রতি টুইটারে পোস্ট করেছেন। মুহূর্তে যা ভাইরাল হয়। যুবকের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের কমেন্ট বক্স ভরে ওঠে কোটি কোটি প্রশংসায়। ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মাথায় হেলমেট পরে হান্টার উড়ে বেড়াচ্ছেন শহরে। নিচ দিয়ে যাতায়াত করছে অসংখ্য গাড়ি। হঠাৎ করে মনে হয়, হলিউডের সায়েন্স ফিকশন ছবির দৃশ্য বুঝি। এখন সবারই প্রশ্ন, এমন যান তৈরির ভাবনা এলো কোথা থেকে?
আরোও পড়ুন:আফগানিস্তানে এবার আর এক প্রাকৃতিক দূর্যোগ, নিহত ‘৪০০’
হান্টারের ছোটবেলা থেকেই ওড়ার শখ। বাবার কাছ থেকেই এমন নেশায় পেয়েছে তাকে। কেননা, হান্টারের বাবা যে একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত পাইলট। হান্টার নিজে স্কেটিংও করে থাকেন। তার মতে, এই যানটিকে উড়ন্ত স্কেটিংবোর্ড বললেও ভুল বলা হয় না। এমন যানের ভাবনা আগে থেকেই তার মাথায় ছিল। তা ছাড়া ওড়ানোর প্যাশন তো তার অনেক দিনের। সেই ইচ্ছার জোরেই সফল হয়েছেন হান্টার।
হান্টারের এই যন্ত্র তৈরি করতে বেশ কয়েক মাস সময় লেগেছে। বহু কষ্টে একে একে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ জোগাড় করতে সক্ষম হন। তারপরই তাক লাগানো যান তৈরি করে ফেলেন। প্রথমবার অভিনব যানে ওড়ার অভিজ্ঞতা ছিল রোমহর্ষক। তবে শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে স্নোবোর্ডিং-এর অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে তার। তাহলে যে কেউ চাইলেই উড়তে পারদর্শী হবেন না।
সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস
মন্তব্য করুন