আফগানিস্তানের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী গোলাম ফারুক ওয়ারদাক তালেবান সরকারের আমন্ত্রণে রাজধানী কাবুলে ফিরে এসেছেন। গত বছর তালেবান দেশটি দখল নেয়ার পর পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গতকাল বুধবার দেশে ফিরেছেন। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
কর্মকর্তারা জানান, নিরাপত্তার আশ্বাসের পর উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের তালেবানের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগের অংশ হিসেবে গোলাম ফারুক ওয়ারদাক ফিরে এসেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এবং আশরাফ ঘানির মন্ত্রিসভার সদস্য গোলাম ফারুক ওয়ারদাক দেশটিতে ফিরে আসা উচ্চপদস্থদের মধ্যে সর্বশেষ ব্যক্তি।
তালেবান কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা এখনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করতে পারেনি। তাই এমন একটি সরকার গঠন করতে চাচ্ছেন যাতে কাজটি দ্রুত হয়। উচ্চপদস্থ আফগানদের আলোচনার মাধ্যমে বিদেশ থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য গঠিত সংস্থাটির মুখপাত্র আহমেদ ওয়াসিক। তিনি বলেন, গোলাম ফারুক ওয়ারদাক তুরস্ক থেকে ফিরে এসেছেন।
আহমেদ ওয়াসিক রয়টার্সকে বলেন, ফেরত আসা অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন সাবেক মুখপাত্র, আফগানিস্তানের জাতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানির সাবেক প্রধান ও কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা। যদিও রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে অন্যদের ফেরত আসার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে ওয়ারদাক আফগানিস্তানে ফিরে আসার পরই রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন।
আরো পড়ুন :মারা গেলেন ‘সেই’ আমির লিয়াকত
সাবেক এই শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশ থেকে চলে যাওয়া বেশিরভাগই ফিরে আসার কথা ভাবছেন। আমি খুব খুশি হয়েছি দেশে ফিরে আসতে পেরে এবং সম্মানিত বোধ করছি। তবে ছোট একটি গোষ্ঠী ফিরে আসতে চাচ্ছেন না বলেও জানান গোলাম ফারুক ওয়ারদাক। উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে তালেবান আফগানিস্তান দখলের পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিসহ অনেক উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আশরাফ ঘানি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে আছেন। আর কাবুলে আছেন হামিদ কারজাই।
দেশে ফেরত আসার ব্যাপারে আলোচনা করতে কয়েক সপ্তাহ আগে গোয়েন্দা ও সামরিক প্রধান সহ নয়জনের উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন একটি প্যানেল গঠন করেছে তালেবান। দেশে ফিরে এলে সাধারণ ক্ষমা নিশ্চিতের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা প্রদান এবং বেসরকারি খাতে কাজের সুযোগ থাকবে।
আর/ডিবিএস
মন্তব্য করুন