চীনের সঙ্গে আলোচনার দরজা বন্ধ করতে চাচ্ছে না তাইওয়ান; বরং সদিচ্ছা নিয়েই বেইজিংয়ের সঙ্গে বসতে চায় দ্বীপাঞ্চলটি। তবে আলোচনা হতে হবে সমমর্যাদার ভিত্তিতে। আর চীনের তরফে কোনো ধরনের রাজনৈতিক পূর্বশর্ত থাকতে পারবে না। রোববার (১২ জুন) তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী সু টিসেং-চ্যাং এমন দাবি করেন।
চীনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে চায় তাইওয়ান ।
তাইপে ও বেইজিংয়ের সম্পর্ক কয়েক দশকের মধ্যে তলানিতে চলে গেছে। তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব কেড়ে নিতে ক্রমাগত সামরিক ও রাজনৈতিক চাপ দিয়ে যাচ্ছে চীন। গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত দ্বীপ অঞ্চলটিকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে মনে করে বেইজিং।
রোববার সিঙ্গাপুরের একটি নিরাপত্তা ফোরামে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, তাইওয়ানকে শান্তিপূর্ণভাবে একীভূত করতে চায় চীন। আর শান্তিপূর্ণভাবে সম্ভব না হলে বিকল্প উপায়ও থাকছে।
আরোও পড়ুন: রুশ হামলার সতর্কবার্তা আমলে নেননি জেলেনস্কি: বাইডেন
এর আগে নিরাপত্তার অজুহাতে তাইওয়ান থেকে গ্রুপার মাছের আমদানি নিষিদ্ধ করেছে চীন। এ পদক্ষেপকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছে তাইপে। সু টিসেং-চ্যাং বলেন, চীনের প্রতি সবসময় বন্ধুত্বের মনোভাব দেখিয়ে আসছে তাইওয়ান।
তিনি আরও বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত দুপক্ষের মধ্যে সমতা ও পারস্পরিক সহযোগিতা থাকছে—কোনো ধরনের রাজনৈতিক পূর্বশর্তের কথা বলা হচ্ছে না, ততক্ষণ পর্যন্ত বন্ধুত্বের মনোভাব নিয়েই আমরা চীনের সঙ্গে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাই।’
তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিমান, রণতরি, অযৌক্তিক নিপীড়ন ও রাজনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে তাইওয়ানকে হয়রানি করে যাচ্ছে চীন। বেইজিংয়ের জন্য দরজা বন্ধ করতে চাচ্ছে না তাইওয়ান। কিন্তু তাইপেকে দমন ও অযৌক্তিক হুমকি দিতে তারা বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করছে।
২০১৬ সালে প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর সু টিসেং-চ্যাংয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে অস্বীকার করেছে চীন। তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে বিবেচনা করে স্বীকৃতিও দেয়নি বেইজিং। তাইওয়ানকে ‘এক চীন’ নীতির অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আরোও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে এস এস সি পরিক্ষার তারিখ পরিবর্তন
সু টিসেং-চ্যাং বলেন, তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে তার জনগণ। চীনের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বহাল রাখতে চাইলেও হামলার শিকার হলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
মন্তব্য করুন